মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

0

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ। কিছু ইউনিক টেকনিক প্রয়োগ করেই খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর অধিকাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। আর এই স্মার্টফোনের সাহায্যে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। ‌ আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার পদ্ধতি খুজে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার জন্য। ‌ কারণ পুরো আর্টিকেল জুড়ে রয়েছে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা। ‌ সুতরাং দেরি না করে এখনি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আয়ের পথ জেনে নিন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

মোবাইলের মাধ্যমে আয় করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। ‌ তবে আজকে সহজ কিছু পদ্ধতি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। যেগুলো অল্প কিছু দিন শেখার পরেই‌ কাজ শুরু করতে পারবেন। ‌

ইউটিউব থেকে আয়

একটি স্মার্ট ফোনের সাহায্যে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। ‌ একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জিমেইলের প্রয়োজন হবে। ‌অ্যাকাউন্ট খোলার পর কপিরাইট ফ্রি ভিডিও আপলোড করতে হবে। যদি চ্যানেলে বিগত ১ বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম পূরণ হয়। ‌ তাহলে এডসেন্সের মাধ্যমে করা যায়। মূলত ইউটিউব থেকে অফিসিয়ালভাবে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে হয়। ‌

এছাড়াও ভিডিও প্রোমোট, স্পন্সরশিপ , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংসহ নানা উপায় আয় করা যায়। ভিডিওতে যত বেশি ভিউজ হবে তত আয় বৃদ্ধি পাবে। তাই ভিডিও ভিউ এর দিকে বেশি নজর রাখতে হয়। ইউটিউবিং করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে অনেকে।

ওয়েবসাইট থেকে আয়

জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সোর্সের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি। ব্লগার সাইট থেকে ফ্রিতে খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট খোলা যায়। চাইলে প্রিমিয়াম ডোমেইন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। ওয়েবসাইট খোলার পর সেখানে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। যদি ইউনিক ডিজাইন এবং কনটেন্ট থাকে তাহলে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে। এডসেন্স এপ্রুভ হলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়।

ইউটিউবের মতো এখানেও এফিলেযট মার্কেটিং, সিপিএ ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করা যায়। ‌ভিজিটর যত বেশি হবে ইনকামের পরিমাণ তত বৃদ্ধি পাবে। সবসময় চেষ্টা করতে হবে কনটেন্টগুলো গুগলে র‍্যাঙ্ক করাতে। তাহলে যে উপায়েই ইনকাম করা হোক না কেন, ইনকাম দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

মাইক্রো ওয়ার্ক জব করে টাকা আয়

বর্তমানে অনলাইনে বেশ কয়েকটি মাইক্রো ওয়ার্ক জব সাইট রয়েছে। সাইটগুলো ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে অর্থ দিয়ে থাকে। যেমন কোন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, কোন টাস্ক কমপ্লিট করা ইত্যাদি। ‌ছোট ছোট কাজের বিনিময়ে প্রতিদিন ভালো পরিমান একটি ইনকাম হয়ে থাকে। ‌ একসাথে এরকম কয়েকটি মাইক্রো ওয়ার্ক সাইটে কাজ করলে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। কয়েকটি মাইক্রো জব সাইট নিচে দেওয়া হল

  • Gigbucks
  • Pico workers
  • Micro jobs
  • Micro workers

সাধারণ ইন্টারনেট জ্ঞান থাকলে এখান আয়ের থেকে সুযোগ পাওয়া যায়। ‌ এক থেকে দুই দিন ভালোভাবে ইউটিউব দেখে শিখলেই আপনি ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয়

এফিলেট মার্কেটিং হচ্ছে কারো পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া। এমাজন, ক্লিকব্যাংক সহ শত শত এফিলেট প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ‌সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে এফিলেট লিংকগুলো নিজের ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রমোট করতে হবে। এমনও হয়েছে একটি প্রোমোট লিংক থেকে তিন চার বছর পর্যন্ত ইনকাম আসছে। এফিলেট মার্কেটিং এর ইনকামের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। ‌ যত বেশি মার্কেটিং করা হয় তত বেশি ইনকাম হয়। যাদের মোটামুটি মার্কেটিং নলেজ আছে, তারা প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। এর জন্য কোন কম্পিউটার ডিভাইসেরও প্রয়োজন হয় না। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।

সিপিএ করে অনলাইন থেকে টাকা আয়

সিপিএ মূলত অফার প্রমোট করে আয় করতে হয়। একাউন্টগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রমোটিং লিংক থাকে। সেগুলো টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে প্রমোট করলে লিড আসতে শুরু করে।‌ এভাবেই সিপিএ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।‌ অনেকটা এফিলেট মার্কেটিং এর মত ‌। দিন দিন সিপিএ এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে মার্কেট প্লাটফর্ম তৈরি হচ্ছে বেশি বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয়

এখন এন্ড্রয়েড ফোনগুলোতে নানা ধরনের ফটো এডিটিং এবং গ্রাফিক্স কাজের করার জন্য অ্যাপস পাওয়া যায়। এগুলো থেকে লোগো ডিজাইন কিংবা ব্যানার তৈরি করেও আয় করতে পারেন। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কম্পিটিটর অনেক বেশি।‌ তবে ধৈর্য সহকারে মার্কেটপ্লেসগুলোতে টিকে থাকলে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়।

ফেসবুক থেকে ইনকাম

ইউটিউবের মতো ফেসবুক থেকেও মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এজন্য প্রয়োজনে একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করার পর ফেসবুক অফিশিয়ালভাবে আপনাকে ইনকাম করার সুযোগ দিবে। এছাড়াও স্পনসরশীপ, প্রোডাক্ট বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করার সুযোগ রয়েছে। ‌ তবে ফেসবুকে এইভাবে ইনকাম করা অন্যান্য প্লাটফর্মের তুলনায় অনেকটা সহজ। এখানে ভিডিওগুলোতে খুব সহজে বেশি পরিমাণ ভিউ পাওয়া যায়।

সতর্কতা: ইনভেস্টমেন্ট করে কখনো আয় করতে যাবেন না। ইন্টারনেট থেকে আয় করতে হলে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। অর্থ ইনভেস্ট না করে আপনার স্কিলকে ডেভেলপ করুন। তাহলে ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণ অর্থ আয়ের সুযোগ পাবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.