ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩

3

অনেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগবে জানতে চেয়েচেন।এছারা আজকে আমরা ইতালি ভিসা খরচ , ইতালি কয় ধরনের ভিসা রয়েছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

হ্যালো বন্ধুরা,  নানা ধরনের শিল্প-সংস্কৃতির দেশ হলো ইতালি। ইতালিতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে লোক যাচ্ছে। আজকে আমরা কথা বলব ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩ সম্পর্কে। আপনারা যারা ইতালি যেতে চান  কিন্তু জানেন না যে ইতালি ভিসা খরচ কত, ইতালির ভিসা ক্যাটাগরি কি কি। অনেকের ভ্রমণের জন্য ইতালি যাচ্ছেন আবার অনেকে কাজের জন্য  ইতালি যাচ্ছেন । তাহলে আপনি ভাবছেন যে, ইতালির যেতে কত টাকা লাগে, ইতালি যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইতালির ভিসা পাওয়ার নিয়ম, ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা, ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ইতালি মেডিকেল ভিসা খরচ ইত্যাদি। আজকে সেই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হচ্ছে।

ইতালি যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা রয়েছে

ইতালি যাওয়ার জন্য সাধারণত দুই ধরনের ভিসা প্রচলিত আছে সেগুলো হলঃ

  1.       ইতালি সিজনাল ভিসা
  2.       ইতালি ননসিজনাল ভিসা বা স্পন্সর ভিসা

ইতালি ভিসা খরচ

ইতালি যেতে কতো টাকা লাগবে সেটা সথিক ভাবে বলা যাবে না। তবে একটা ধারনা দেয়া যায়। তাহলে চলুন ইতালি ভিসা নিয়ে বিস্তারিত যেনে আসা যাক।

ইতালি সিজনাল ভিসা

সিজনাল ভিসা ইতালি যাওয়ার খরচ ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কারণ হচ্ছে, আপনি সর্বোচ্চ সাত থেকে দশ মাস পর্যন্ত থাকতে পারবেন আর সিজনাল ভিসায় মূলত ইতালি ভ্রমণ ভিসা, ব্যবসায়িক কাজের জন্য, কৃষি ভিসা অথবা শ্র্মিক ভিসায় যেতে পারেন।

ননসিজনাল ভিসা বা স্পন্সর ভিসা

ননসিজনাল ভিসা বা স্পন্সর ভিসায় ইতালি যেতে হলে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে কারণ, ননসিজনাল ভিসায় গেলে আপনি পাঁচ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবেন আশা করি। আসলে যারা মূলত ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা,  ইতালি মেডিকেল ভিসা, ইতালি ফ্যামিলি ভিসা ও রেস্টুরেন্ট ভিসায় যাচ্ছে সেইসব ভিসাকেই মূলত ইতালি নন সিজনাল ভিসা বলা হয়।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভিসা পাওয়ার উপায়

সাধারণত, ইতালি ভিসা প্রদানের জন্য অনেকগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্ত রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন। আবেদনকারীকে ভিসা আবেদনের পূর্বে এই নির্দিষ্ট নিয়ম এবং শর্তগুলি পরিচিত হওয়া উচিত।

  1. ইতালি যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ বছর থাকতে হবে।
  2. ইতালির ভিসা জন্য আবেদন করার জন্য প্রথমে আবেদনকারীকে ইতালির বাংলাদেশের দূতাবাসে অথবা কোনো ভিসা কেন্দ্রে আবেদন করতে হবে।
  3. ইতালির ভিসা প্রদানের জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্র, ছবি, পাসপোর্ট এবং আরও কিছু প্রমাণপত্র সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
  4. প্রতিটি প্রমাণপত্রে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা এবং বর্তমান জীবনযাপন ও স্থান উল্লেখ থাকতে হবে।
  5. ভিসা আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর একটি ফি প্রদান করতে হবে।
  6. ফির পরিমাণ আবেদনের ধরণ এবং অবস্থান উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
  7. মুদ্রণযোগ্য আবেদনপত্র প্রদান করতে হবে।
  8. এই আবেদনপত্রে প্রদত্ত তথ্য একটি ফরমে সংগৃহীত হবে এবং একটি ফটোকপি পাসপোর্ট সহ যোগ করতে হবে।
  9. এছাড়াও আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাতকারের জন্য সময় নির্ধারণ করা হবে।
  10. আবেদনপত্র এবং সমস্ত প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার পর ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  11. ভিসা প্রদানের পর আবেদনকারীকে সেই ভিসার মেয়াদ এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো হবে।

ইতালি স্টুডেন্ট ভিসাঃ

ইতালিতে মূলত, সাবক্লাস ৫০০, সাবক্লাস ৫৯০, সাবক্লাস ৪৪৪ এই তিন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত। আপনার প্রয়োজনমতো ভিসা বাছাই করে সেটির জন্য আবেদন করতে পারেন। ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ পেতে কিছু সত্যায়িত কাগজ এবং প্রমানপত্র আপনার স্থানীয় ইতালি দূতাবাস বা ভিসা সেন্টারে  জমা দিতে হবে। তা হলঃ

  1.       ইতালি ভিসা আবেদন ফরম।
  2.       ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (৬ মাস)।
  3.       আইএলঅটিএস স্কোর সার্টিফিকেট।
  4.       জাতীয়পরিচয় পত্র ।
  5.       ভ্যালিড পাসপোর্ট (নুন্যতম ৬ মাস)।
  6.       চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ।
  7.       ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
  8.       পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ।
  9.       হেলথ ইন্সুরেন্স ।
  10.     আবেদনকৃত শিক্ষাস্থলের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য।

ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

ইতালি তে কাজ করার জন্য প্রয়োজন ইতালি ওয়ার্ক পারমিট  ভিসা ।ইতালিতে অবস্থানরত কেউ ব্যাবস্থা করে দিতে পারেন অথবা অনলাইন জব পোর্টাল এর সাহায্য নিতে পারেন। যেহেতু ইতালি শুধু মাত্র সম্পূর্ণ স্কিল্ডদের  জন্য ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে থাকে, সেজন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।

  1.       জব অফার লেটার
  2.       ভ্যালিড পাসপোর্ট
  3.       ভ্যাকসিন সনদ বা নেগেটিভ কোভিড টেস্ট রিপোর্ট (প্রয়োজন হলে)
  4.       আপনার কাছে আছে প্রয়োজনীয় কোনও পেপার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহকারী ডকুমেন্ট।
  5.       যোগ্যতা এবং কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
  6.       এছাড়াও স্থায়ী ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য । (ক্ষেত্র বিশেষ)

ভিসা আবেদন সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে, আপনি ইতালিয়ান দূতাবাস বা কনসুলেটের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।

ইতালি মেডিকেল ভিসা খরচ

আপনার যদি কখনো ইতালিতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনাকে ইতালীয় মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি ইতালি যাওয়ার আগে আপনার মেডিকেল ভিসা পরিচালনার জন্য আপনার আশেপাশের ইতালি সফর এজেন্ট বা স্থানীয় কনসুলেট অফিসে সর্বশেষ খরচ (মুদ্রার মান পরিবর্তনশীল) জেনে নিতে পারেন । সাধারণত, ইতালি মেডিকেল ভিসা খরচ দুই প্রকার হতে পারে। প্রথমত, একটি ভিসা আবেদন করার জন্য ফি প্রয়োজন হয়, এটি সাধারণত কমপক্ষে ৪০ ইউরো হতে পারে (মুদ্রার মান পরিবর্তনশীল) । দ্বিতীয়ত, একটি ভিসা প্রস্তুত করার জন্য আরও খরচ প্রয়োজন হতে পারে যদি কোনও অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, আপনার ভিসার খরচ আপনার যাত্রার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। তার পূর্বে আপনাকে নিম্নক্ত তথ্য নিশ্চিত করতে হবেঃ

  1.       আপনার ভ্যালিড পাসপোর্ট
  2.       আপনার নিজের দেশের চিকিত্সক, ক্লিনিক অথবা হাসপাতাল কতৃক ইস্যুকৃত স্থানীয় মেডিকেল রিপোর্ট , যা নিশ্চিত করবে যে আপনার ইতালিতে উন্নত চিকিত্সা প্রয়োজন।
  3.       স্ক্যানকৃত ছবিসহ আপনার মেডিকেল রেপোর্ট
  4.       ইতালির হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছ থেকে একটি মেডিকেল রিপোর্ট যা, অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং আপনার চিকিত্সার ধরন নিশ্চিত করে ।
  5.       অর্থনৈতিক সচ্ছলতার প্রমান পত্র, যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট ।
  6.       ইতালিতে যাওয়ার শেষ প্রয়োজনীয় মেডিকেল নথি ( যদি থাকে)
  7.       ভ্যাকসিন সনদ বা নেগেটিভ কোভিড টেস্ট রিপোর্ট ।
  8.       আপনার ইতালি যাওয়া খরচের বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং তথ্য, যেমন হোটেল বুকিং এবং ট্রান্সপোর্টেশনের বিস্তারিত।
  9.       ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্ট।

3 Comments
  1. […] ইতালি ভিসা খরচ ২০২৩  […]

Leave A Reply

Your email address will not be published.