ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ | ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

2

বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায়  বাংলাদেশ , ভারত, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা নিয়ে সে দেশে যেতে চান। ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ক্রোয়েশিয়া ভিসা সম্পর্কে জানা উচিত।

আজকের পোস্ট থেকে কুরাইশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কোরাইশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি , ক্রোয়েশিয়া দেশ কেমন , এবং ক্রোয়েশিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ইউরোপ কান্ট্রির একটি সমৃদ্ধ দেশ হয় প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক সে দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য কুরাইশের ভিসা খোলা রয়েছে।

ক্রোয়েশিয়া ভিসা আপডেট ২০২৩

যারা ২০২৩ সালে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আগ্রহ পোষণ করেছেন তাদের জন্য সুখবর। পূর্বে ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ না হওয়ার কারণে সে দেশে যাওয়ার জন্য তেমন কোন আগ্রহ ছিল না বাংলাদেশ নাগরিকদের জন্য। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপ কান্ট্রির সেনজেনভুক্ত পাসপোর্ট মুক্ত 27 তম দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান সহ এশিয়া মহাদেশ থেকে প্রচুর নাগরিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ক্রোয়েশিয়া যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া প্রায় সব ধরনের কাজের ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি পাওয়া যায় ।

আরো পড়ুনঃ  কানাডা কৃষি ভিসা ২০২৩ | কানাডা কৃষি ভিসা প্রসেসিং

ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা

পূর্বে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা খোলা রয়েছে। ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ হয় বাংলাদেশর নাগরিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ। আপনারা যারা ক্রোয়েশিয়া বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা বর্তমানে যেতে পারবেন। ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার আগে ক্রোয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে এবং কি কি রিকোয়ারমেন্টসগুলো ফল করতে হয় সেই বিষয়ে আপনার ধারণা থাকতে হবে। নিচে স্টেপ বাই স্টেপ ক্রোয়েশিয়ার ভিসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি সকল তথ্য তুলে ধরা হলো।

ক্রোয়েশিয়া কি সেনজেনভুক্ত দেশ?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ কিনা। হ্যাঁ বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া একটি ইউরোপ কান্ট্রির সেনজেনভুক্ত দেশ। ক্রোয়েশিয়া ইউরোপ মহাদেশের এই দেশটি ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনজেনভুক্ত অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত হন। ক্রোয়েশিয়া দেশটি সেনজেনভুক্ত হওয়ায় ক্রোয়েশিয়া এখন পাসপোর্ট মুক্ত ২৭ তম রাষ্ট্র। ক্রোয়েশিয়া দেশটি সেনজেনভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ সহ এশিয়া মহাদেশের অনেক নাগরিকদের কাছে দেশটি এখন স্বপ্নের রাজ্য হিসেবে পরিচিত।

ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা

বাংলাদেশীদের জন্য বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা খুবই জনপ্রিয় একটি ভিসা। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার নাগরিক বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে ইউরোপ মহাদেশে প্রবেশ করে থাকে। বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত রাষ্ট্র হওয়ায় প্রতিনিয়তই হাজার হাজার শ্রমিক কাজের ভিসা নিয়ে ক্রোয়েশিয়া যাচ্ছে। বর্তমানে কোরাইশিয়া প্রায় সকল ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। কাজের চাহিদা থাকায় দেশটিতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে জব ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিক পাড়ি জমাচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ কুয়েত ভিসা ২০২৩ | কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত 

ক্রোয়েশিয়া ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

ক্রোয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যেমন

  • পাসপোর্টঃ একটি অরজিনাল ভ্যালিড পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাসের বেশি থাকতে হবে।
  • NID Card এর ফটোকপি।
  • সদ্য তোলা ছবি। অবশ্যই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা থাকতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট:(পূর্বে আপনার নামে থানায় কোন প্রকার মামলা আছে কিনা সেটি জানার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পডঃ()
  • এরপরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটি ইন্ডিয়ার নয়া দিল্লি এবং ক্রোয়েশিয়ান এমব্যাসি নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করে জমা করতে হয়।
  • ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রথমে ক্রোয়েশিয়ান দূতাবাস থেকে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
  • আবেদন ফরমটি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফিলাপ করতে হবে।
  • কাজের দক্ষতা(যদি থাকে)।
  • কোরাইশিয়া ওয়ার্ক পারমিটের কপি।
  • এবং ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
  • এবং কনফার্ম ওয়ান ওয়ে টিকিট রিজার্ভেশন করতে হবে।
  • ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার।(ক্রোয়েশিয়ান জমা করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এপয়েন্টমেন্ট লেটার সংগ্রহ করতে হবে)।
  • এবং নির্ধারিত ডেটে আপনাকে স্বশরীরে হাজির হতে হবে।
  • আপনার ইন্টারভিউ বা এমব্যাসির কার্যক্রম শেষ হলে আপনাকে এক মাসের মধ্যে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে আপনি সেই দেশের জন্য কনফার্ম হয়েছেন কিনা।

ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা পাওয়ার উপায়

উপরোক্ত তথ্য দিয়ে  ক্রোয়েশিয়া ভিসাআবেদন ফরম পূরণ করার পরে সঠিকভাবে ক্রোয়েশিয়ান এম্বাসিতে প্রেরণ করার পরে তারা যদি মনে করে আপনি যথাযথভাবে সেই দেশের জন্য সিলেক্ট হয়েছেন তার পরেই আপনি ভিসা পাবেন । ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত তথ্যগুলো সংগ্রহ থাকতে হবে।

ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা দাম কত

ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে  ৬০০০০০-৮০০০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এটি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় কারণ আপনি কোন ধরনের কাজ নিয়ে সে দেশে যাবেন তার উপর মূলত ভিসার দাম নির্ভর করে। বেতন এবং কাজের ধারণা অনুযায়ী একেক রকম ভিসার দাম একক রকম হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা 2023 | মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে

ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন কত?

ক্রোয়েশিয়া কাজের বেতন কত? এটা নির্ভর করে আপনি কোন ভিসা নিয়ে এসে দেশে যেতে চান। তবে ক্রোয়েশিয়া সর্বনিম্ন.৫০০০০ টাকা বেতন রয়েছে। এবং আপনার যদি কোন কাজের প্রতি দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ১ লক্ষ্য টাকার বেশি বেতন পেতে পারেন।

ক্রোয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

সেনজেনভুক্ত এই দেশটি তে প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে। ক্রোয়েশিয়ায় কাজের চাহিদা থাকায় এশিয়া মহাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সে দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। বর্তমানে যারা কোরাইশিয়া বসবাস করছেন তারা অনেক টাকা বেতনে কাজ করছেন।

ক্রোয়েশিয়া যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে

  • হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট
  • ইলেকট্রিসিয়ান
  • মেকানিক্যাল
  • কন্সট্রাকশন
  • ক্লিনার
  • ড্রাইভিং
  • ফুড প্যাকেজিং
  • এগ্রিকালচারাল

এছাড়াও অনেক ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া এসব কাজে চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রোয়েশিয়া ভিসা ফর বাংলাদেশী

বাংলাদেশীদের জন্য বর্তমানে বড় সুখবর হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া রাষ্ট্রটি সেনজেনভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারিতে নাম লিখিয়েছেন। দেশটির সেন্দেনভুক্ত হওয়ায় কাজের চাহিদা থাকার কারণে বাংলাদেশের জন্য বিশাল বড় সুখবর। প্রতিবছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কাজের ভিসা নিয়ে ক্রোয়েশিয়া যান।

2 Comments
  1. […] আরো পড়ুনঃ ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ […]

Leave A Reply

Your email address will not be published.